অনেকেই আছেন চিকিৎসকের কাছে নিজের সমস্যা কথা খোলামেলা বলতে চান না। এমনকি চিকিৎসকের কাছে গেলেও অনেক কিছু মিথ্যা বলেন বা লুকিয়ে রাখেন।
একটি বিষয় মনে রাখবেন, আপনি যে শারীরিক সমস্যার কারণে চিকিৎসকের কাছে
গেছেন, তার ভিত্তিতে চিকিৎসক আপনাকে ওষুধ বা ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন। তাই
রোগীর ব্যক্তিগত তথ্যাদিসহ জীবনযাপনের ধরনও নির্ভর করে।
আসুন জেনে নিই যে ৫ বিষয় ডাক্তারের কাছে লুকাবেন না।
বয়স নিয়ে লুকোচুরি
অনেকেই চিকিৎসকের কাছে গেলে বয়স লুকান। বয়স নিয়ে লুকোচুরি করবেন না।
সঠিক বয়স জানার মাধ্যমে চিকিৎসকরা বহু রোগ নির্ণয় ও তার স্বরূপকে চিহ্নিত
করতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস নিয়ে মিথ্যা বলা
বেশ কিছু গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, চিকিৎসকদের কাছে রোগীরা তাদের
খাদ্যাভ্যাস নিয়ে মিথ্যা বলেন। অনেকেই সঠিক তথ্য চিকিৎসকের কাছে বলতে চান
না। এতে করে ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন দেয়া ও সে অনুযায়ী খাবার গ্রহণে নিয়ম
বলে দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
ধূমপানের অভ্যাস
নিজের ধূমপানের অভ্যাসটি আড়াল করবেন না। কার্ডিওলজিস্ট (হৃদরোগ
বিশেষজ্ঞ) থেকে শুরু করে ডার্মাটোলজিস্ট (চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ) সকল ডাক্তারের
কাছেই এই অভ্যাস সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি জানাতে হবে।
গর্ভপাত
নারীদের জন্য বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও ব্যক্তিগত। গর্ভপাতের বিষয়টি
মোটেও হেলাফেলার নয়। অনেক সময় পরিবারের কাছেও এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলা সম্ভব
হয় না। কিন্তু নিজের স্বাস্থগত বিষয়ে এবং বিশেষভাবে নারী স্বাস্থ্য
সম্পর্কিত বিষয়ে গাইনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে কখনই এ বিষয়ে ভুল তথ্য
উপস্থাপন করা যাবে না।
মানসিক অবস্থা
কেমন আছেন ডাক্তারের কাছে এ বিষয়ে সঠিক কথাটি বলাই যুক্তিযুক্ত হবে।
আপনি কি ক্লান্ত বোধ করছেন মানসিকভাবে, বিষণ্ণতা কিংবা হতাশা জেঁকে বসছে?
মনোযোগ কমে গেছে আগের থেকে? এ বিষয়গুলো ডাক্তারের কাছে খোলাখুলি প্রকাশ
করুন।
No comments:
Post a Comment